LATE FAZLE RASHID
Published On Dec 17, 2021
জন্ম: ১ আগষ্ট ১৯৩৮, কলকাতা / মৃত্যু: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২
প্রতিথযশা সাংবাদিক ফাজলে রশীদ-এর সংক্ষিপ্ত জীবনীবাংলাদেশের প্রতিথযশা সাংবাদিক, ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি ফাজলে রশীদ দীর্ঘ প্রায় এক যুগ নিউইয়র্কে বসবাসের পর শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য স্বস্ত্রীক মিনাসোটায় বসবাসরত তাঁদের একমাত্র কন্যা ফাবিয়া রশীদের কাছে চলে যান। এবং সেখানে তিনি ইন্তেকাল করেন। ঢাকার ডেইলী নিউনেশন-এর সাবেক সম্পাদক ফাজলে রশীদ উইকলী হলিডে’র কট্রিবিউটিং এডিটর ছিলেন। তিনি হলিডে ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস সহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন পত্রিকায় পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। সাংবাদিক ফাজলে রশীদ-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী জন্ম: ১ আগষ্ট ১৯৩৮, কলকাতা ঢাকা আগমন: ১৯৫১ সাল পিতার নাম: আব্দুল করীম (মরহুম) মাতার নাম: সৈয়দা আমাতুজ জোহরা (মরহুম) স্ত্রীর নাম: অধ্যাপিকা মমতাজ খান সন্তান সংখ্যা ২ জন: এক ছেলে আরিফ রশীদ (অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী), এক মেয়ে ফাবিয়া রশীদ (যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী) ভাই-বোন (১০ ভাই, ৭ বোন): অধ্যাপক আবু জামাল আবু তৈয়ব (মরহুম), বাজলে কাদের (মরহুম), অধ্যাপক আবু রুশদ মতিন উদ্দিন (মরহুম), হেদায়েত মওলা (মরহুম), রশীদ করিম (মরহুম), জালিয়াতুন মওলা (মরহুম), খাদেমাতুল মওলা (মরহুম), শাদাত মওলা (মরহুম), ফাজলে রশীদ ও রহিমাতুল মওলা। শিক্ষা: বিএ সম্মান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) সাংবাদিকতা শুরু: ১৯৬৩, পাকিস্তান অবজারভার। কর্মস্থল: বাংলাদেশ অবজারভার, মনিং নিউজ ও নিউনেশন। পেশাগত গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবী: রিপোর্টার থেকে চীফ রিপোর্টার, নগর সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক এবং সর্বশেষে সম্পাদক। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা। প্রবাস জীবনে ছিলেন উইকলী হলিডে’র কন্ট্রিবিউটর এডিটর। ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখক ছিলেন। সাংগঠনিক কর্মকান্ড: ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের পর পর তিনবার সাধারণ সম্পাদক ও দু’বার সভাপতি। তিনি নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা। ভ্রমণ: পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানী, ইরাক, মালয়েশিয়া, হংকং, দুবাই, সিঙ্গাপুর, ভারত ও নেপাল সফর করেন। প্রতিথযশা সাংবাদিক ফাজলে রশীদ মাত্র ৭৪ বছর বয়সে ২০১২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ফ্রিভিউ সাউথ ডিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মরদেহে সেখানেই দাফন করা হয়।